সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তাদেরকে আদালতের হাজতখানা থেকে কাঠগড়ায় স্থাপিত লোহার খাঁচার মধ্যে রাখা হয়।
এর আগে গ্রেফতারকৃত ২৩ অাসামিকে দুই ভাগে সকাল ৯টা ৮ মিনিট ও ৯টা ৪০ মিনিটে কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আনা হয়।
প্রথমে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার এবং পরে প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ৫ জনকে আদালতে আনা হয়।
রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনজীবী ছাড়া অন্য কাউকে আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আদালত চত্বরের বাইরে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে সবাইকে তল্লাশি করা হচ্ছে।
৭ খুনের ঘটনায় দু’টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম একসঙ্গে শেষ হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এবং অপরটির বাদী নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
মামলা দু’টির চার্জশিটে ৩৫ জন অভিন্ন আসামি। তাদের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার, ১২ জন পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, ৠাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, ৠাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী নুরুজ্জামান, সিপাহী আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।
পলাতক আসামিরা হলেন- নূর হোসেনের সহযোগী ভারতে গ্রেফতার সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন এবং ৠাবের আট সদস্য কর্পোরাল লতিফুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলী, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, এএসআই কামাল হোসেন ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।
দু’টি মামলারই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে। তাদের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১০৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
** নূর হোসেনসহ ২৩ আসামি আদালতে
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭/আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা
ই্এস/এজেড/পিএম/জেডএস