সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল দশটা ০৫ মিনিট থেকে দু'টি মামলার রায় একসঙ্গে রায় পড়ছেন আদালত। এর দুই মিনিট আগে এজলাসকক্ষে আসন গ্রহণ করেন বিচারক।
এর আগে সকাল নয়টা ৫০ মিনিটে গ্রেফতারকৃত ২৩ আসামিকে আদালতের হাজতখানা থেকে কাঠগড়ার লোহার খাঁচায় এনে রাখা হয়। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে এবং নূর হোসেনসহ ৫ জনকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে আদালতে আনা হয়।
মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি ১২ জন পলাতক।
সাত খুনের ঘটনায় দু’টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম একসঙ্গে শেষ হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এবং অপরটির বাদী নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
মামলার সর্বশেষ ধাপ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে গত বছরের ৩০ নভেম্বর রায়ের এ দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলা দু’টির ৩৫ জন অভিন্ন আসামির মধ্যে ১৭ জনই র্যাবের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা ও সদস্য। তাদের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার ও ১২ জন পলাতক আছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, র্যাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন কনস্টেবল বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী নুরুজ্জামান, সিপাহী আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।
আর পলাতক আসামিরা হলেন- নূর হোসেনের সহযোগী ভারতে গ্রেফতার সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন এবং র্যাবের আট সদস্য কর্পোরাল লতিফুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলী, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, এএসআই কামাল হোসেন ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।
দু’টি মামলারই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে। তাদের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১০৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
এএসআর