ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রায়ে জনগণ সন্তুষ্ট’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
‘রায়ে জনগণ সন্তুষ্ট’

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় রায়ে দেশের জনগণ সন্তুষ্ট বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দেওয়া রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ে দেশের জনগণ সন্তুষ্ট হয়েছেন, এটাই প্রত্যাশিত ছিলো।

কারণ কোনো হত্যাকাণ্ড যদি প্রমাণ হয় ফাঁসি দেওয়াই তার প্রথম পদক্ষেপ।

সরকারে দায়িত্ব যে অপরাধ করবে তাকে বিচারের আওতায় এনে সুষ্টু বিচার করা। আমাদের সরকার সেটাই করেছে।

রায় কার্যকর কবে নাগাদ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষটি হাইকোর্টে যাবে। হাইকোর্ট নিশ্চিত করলে পরবর্তীতে আসামিদের আপিলের সুযোগ রয়েছে। আপিলের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নিষ্পত্তি করলে এরপর রায় কার্যকর হবে।

মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ জনের ফাঁসি ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনে।   তবে মামলার পর থেকেই ১২ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। রায়ের সময় আটক ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে মামলার সর্বশেষ ধাপ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে গত বছরের ৩০ নভেম্বর রায়ের এ দিন ধার্য করেন আদালত।
আইনমন্ত্রী বলেন, এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ও অপরাধে জনমনে যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছিল সেই ভীতি দূর হবে। মামলায় রায়ের পর তা অনুমোদনের জন্য সাত দিনের মধ্যে রায়ের নথি হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। হাইকোর্ট রায় বহাল রাখলে আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ থাকবে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে রায় কার্যকর হবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হতে কতোদিন লাগবে সেটা আদালতের উপর নির্ভর করবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এই নৃশংস হত্যকাণ্ডে যারা জড়িত, বিজ্ঞ আদালত তার সাক্ষ্য-প্রমাণে পেয়েছেন। যদি হত্যাকারী হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে কিন্তু মৃত্যুদণ্ড দেওয়াটা দ্য ফার্স্ট পানিশমেন্ট। আদালত সেই রায়ই দিয়েছেন।

সাত খুনের ঘটনায় দণ্ডিত ৩৫ জনের মধ্যে ২৫ জনই মামলার নথিতে বলা হয়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে র‌্যাব সদস্যদের দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আইনমন্ত্রী বলেন, যেই অপরাধ করুক, তাকে বিচারের আওতায় এনে তার সুষ্ঠু বিচার করাই হচ্ছে রাষ্ট্রের দায়িত্ব, আমাদের সরকার সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে।

তিনি বলেন, এই দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পার হলেও মামলার এজহার কেউ করেনি, সেই জায়গা থেকে আজকের বাংলাদেশ যেখানে এসেছে নিশ্চয়ই আপনারা স্বীকার করবেন এখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কি না এরকম এক  প্রশ্নের উত্তরে আনইমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রত্যেক বাহিনীর জন্য স্ব স্ব মন্ত্রণালয় দায়িত্বে আছেন, তারা কি করবেন এটা তাদের বিবেচনার বিষয়।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, নাগরিকত্ব আইনটি ভেটিংয়ের জন্য আইনমন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে আছে। প্রবাসী সকল নাগরিকের সুযোগ সুবিধা যাতে নিশ্চিত করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭/আপডেট ১৫৫৫
এসকে/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।