ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় ডাকাতিচেষ্টা মামলা: ৪ দিনেও ধরা পড়েনি কেউ

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
বগুড়ায় ডাকাতিচেষ্টা মামলা: ৪ দিনেও ধরা পড়েনি কেউ ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের নিউমার্কেটের আল হাসান জুয়েলার্সে ডাকাতিচেষ্টা হয়। ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: বগুড়ার শহরের একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতিচেষ্টার চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন করে কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার দিন এক ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হলেও তার সহযোগীরা ধরা না পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের নিউমার্কেটের আল হাসান জুয়েলার্সে হামলা করে ডাকাতরা। আতঙ্ক ছড়াতে ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়।

এসময় স্বর্ণের দোকানের মালিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।  

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ডাকাত সদস্যকে আটক করে। তবে পালিয়ে যায় অন্যরা। সেসময় ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
 
ঘটনার পর দিন প্রতিষ্ঠানের মালিক গুলজার রহমান আটক ডাকাত সদস্য আলমগীর হোসেনসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
 
তবে চার দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতির খবর মেলেনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।  
 
গুলজার রহমান বাংলানিউজকে জানান, রোববার (১৫ জানুয়ারি) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) থেকে চিকিৎসার পর তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তবে এখনও তার ভেতরে আতঙ্ক কাজ করছে।
 
তিনি আরও জানান, এক বছর আগেও তার দোকানে চুরি হয়েছিল। প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ‍আবারও ডাকাতির চেষ্টা হতো না বলে মনে করেন তিনি।  
 
গুলজার বলেন, এবারে ডাকাতদল সবকিছু লুটে নিলেও পুলিশি তৎপরতা ছিল লক্ষ্যণীয়। একজন ডাকাত সদস্য ধরা পড়েছে। তবে বাকি ডাকাত সদস্যরা এখনো ধরা না পড়ায় বেশ আতঙ্কে রয়েছি। এছাড়া মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম আলী বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১২-১৩ জনকে সনাক্ত করা গেছে। তাদের গ্রেফতার করা এখন সময়ের ব্যাপার।

স্থানীয়দের কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কি-না জানতে চাইলে আসলাম আলী বলেন, বিভিন্ন দিক সামনে রেখে পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে। ঘটনার আগে ও পরের সবকিছু তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
 
জেলার মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাকি ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে পারবো বলে আশা করছি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।