বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে এ হামলা চালানো হয়।
এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর বেলায়েত শেখ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর অলিউর রহমানের বাড়ি-ঘরসহ অন্তত ১২টি বসত বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলায় অলিউর রহমানসহ অন্তত আট নারী ও শিশু আহত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বরফা গ্রামের মোল্লা আলিমুজ্জামান (আলিম মাস্টার) ও ছয় নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর অলিউর রহমানের সঙ্গে একটি হত্যা মামলা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
২০১৬ সালের ৪ আগস্ট রাতে নয়ন শেখ নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে করা হয়। ৫ আগস্ট পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ৬ আগস্ট নিহতের বাবা আব্দুল আলী আলিমুজ্জামানসহ ২৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে একই বছরের ৩০ অক্টোবর নিহত নয়ন শেখের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে একই ব্যক্তিদের নামে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) নিহতের বাবা আব্দুল আলী শেখ আসামিপক্ষের সঙ্গে আপোষ করে তার করা হত্যা মামলায় নারাজি দেন। কিন্তু আদালত নারাজি গ্রহণ না করায় বাদী ও আসামিরা একজোট হয়ে প্রতিপক্ষ অলিউর রহমান মেম্বরের বাড়ি-ঘরসহ তার পক্ষের লোকজনের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হন। বুধবার সকালে পুনরায় তারা প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. হযরত আলী বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে এখনও কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
আরবি/এসএইচ