মেয়র আনিসুল হক বলেন, বিগত ১৩ দিনে সেনাবাহিনী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রায় ১৯ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃতি ৩তলা মার্কেটির আনুমানিক ৬ হাজার টন রড ও কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণ করার পর পরিষ্কার জায়গায় আমরা ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের জন্য একটি অস্থায়ী মার্কেট নির্মাণ করবো আজ থেকে।
অস্থায়ী মার্কেট কতোদিন থাকবে এবং নতুন করে কবে নাগাদ মার্কেট নির্মাণ করা হবে মেয়রের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অস্থায়ী মার্কেট আগে শুরু হোক তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মার্কেট নির্মাণ নিয়ে আমার আগে যে মেয়ের ছিলেন তিনি একটি টেন্ডার দিয়েছিলেন, সেই টেন্ডারের মাধ্যমে একটি কোম্পানি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছিল। এখন আমি টেন্ডারে পাওয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ও দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলবো, মার্কেট আবার নির্মাণ নিয়ে, কিন্তু এ সম্পর্কে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের কারণে মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটির সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মেয়র বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করা হচ্ছে, তবে এ বিষয়ে এখন কোনো সংখ্যা বলা যাবে না। ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটি বুয়েটের একটি বিশেষ দল পরীক্ষা করছে, তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সময় মেয়র সফলভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের সিও মেজর জেনারেল সিদ্দিকসহ সেনাবাহিনী, ফায়র সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমএ/আরআর/এসএইচ