বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ প্রতিবেদন হলফনামা আকারে জমা দেন।
২২ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী এ ঘটনায় করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। এজাহারে থাকা পাঁচ আসামির মধ্যে নজরুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগকারীদের জবানবন্দি ও অন্যদের বক্তব্যে রয়েছে। তবে কিশোরীকে ধর্ষণ নয়, শ্লীলতাহানি করা হয়েছে এবং তার ভাইকে মারধর করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে‘ কুমিল্লার বাঙ্গরা: বোনকে ধর্ষণ ভাইকে কোপ থানায় সালিস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ০৯ জানুয়ারি এই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান।
এরপর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে বখাটে নজরুলকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি এ বিষয়ে করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করতেও নির্দেশ দেন। আসামিকে গ্রেফতারের অগ্রগতি প্রতিবেদন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও বাঙ্গরা থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশের পরের দিন ভোররাতে নজরুলসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী নারীর পরিবারের অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেন ওসি।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২৩ ডিসেম্বর গ্রামের পাশে একটি ব্রিকফিল্ডে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করেন প্রতিবেশী নজরুল (৩০)। সে ওই গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে। এ সময় স্থানীয় কয়েক যুবক বখাটে নজরুলকে হাতেনাতে ধরে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পরদিন শনিবার প্রতিবন্ধীর ভাই নিজাম উদ্দিন ঘটনা শুনে নজরুলের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। তখন তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে নজরুল। আহত নিজামকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯,২০১৭
ইএস/বিএস