মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমরা কিছু শেখাতে পারবো না, আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের সাহায্য করা। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ তৈরি না হলে এদেশ এগোবে না।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি এখন বিজ্ঞান মেলায় শিক্ষার্থীরা তার সমাধান বের করার প্রকল্প নিয়ে আসছে। আমরা বিজ্ঞান মেলায় মজা করার বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসতাম।
মন্ত্রী আরো বলেন, রাস্তার যানজট নিরসন, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, খাদ্যদ্রব্য বেশি দিন ধরে টিকিয়ে রাখার মতো অনেক সাশ্রয়ী প্রকল্প তৈরি করছে বর্তমান যুগের শিক্ষার্থীরা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, আইটিতে বাংলাদেশ কোথায় ছিল, আর এখন কোথায় চলে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কথাটা এক সময় মানুষ জোকস হিসেবে নিত। এখন কিন্তু কেউ আর জোকস করে না। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশের কিছু না কিছু ছোঁয়া প্রতিদিন আমরা অনুশীলন করি। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে জোকস করতে লজ্জা লাগে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জ্ঞান-বিজ্ঞানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে সন্দেহ নেই। শিক্ষার্থীদের চিন্তা-ভাবনা, গবেষণা, উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ দেখতে চাই।
তিন দিনব্যাপী মেলায় ঢাকাসহ সারাদেশের ১৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ১৪৬টির বেশি প্রকল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে।
বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও বিসিএসআইআর এর সদস্য আবদুল মাবুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
আরইউ/আরআর/এসএইচ