বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে গ্রেফতারের পর বিকেল সাড়ে ৩টায় তাকে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দেন।
আদালতের বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুল আমিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
বাহারের জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ঝুমা আক্তার সুমার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল দাবি করে বাহার। সম্প্রতি সম্পর্কের জের ধরেই তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন সুমা ও তার মা করিমা বেগম।
প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সুমার ওপর হামলা চালিয়ে বুকে, পেটে ও হাতের মধ্যে ছুরকাঘাত করে বলে আদালতকে জানায় বাহার।
এর আগে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য জন্য বিকেল পৌনে ৩ টায় বাহারকে আদালতে হাজির করেন জকিগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইমরুজ তারেক।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মির্জাচক হাওরে পালিয়ে থাকাবস্থায় পুলিশ বাহারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তার দেখানো মতে নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় হামলায় ব্যবহৃত ছুরা।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের মেয়ে ঝুমা আক্তার সুমাকে কালিগঞ্জ যাবার পথে ছুরিকাঘাত করে ওই গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে বাহার।
পরদিন সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় বাহারসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে সুমার মা করিমা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার মূল হোতা অভিযুক্ত বাহারের ভাই নাসির উদ্দিনকে আটক করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আহত সুমা জকিগঞ্জের ইছামতি ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
**কলেজ ছাত্রীর ওপর হামলাকারী বাহার পুলিশের খাঁচায়
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এনইউ/বিএস