ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারে (২৪ জানুয়ারি) অচল হয়ে পড়েছে এসব জেলায় পণ্য পরিবহন। সরবরাহ না থাকায় কাঁচাবাজার, জ্বালানি তেল, গ্যাস, নিত্যপণ্যসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
খুলনা ফল আমদানিকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির বাংলানিউজকে বলেন, ধর্মঘটের ফলে ট্রাকের মালে যেমন পচন ধরেছে তেমনি আড়তের মালও পচছে। বিশেষ করে আঙুর আর কমলা পচে যাচ্ছে। ধর্মঘটের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লোকসানে পড়ছেন।
সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল গফফার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, পরিবহনে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই না করতে প্রেস নোট জারি, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন, ওয়েব্রিজে জরিমানা বাতিল, ১২ হাজার টাকা স্কেল জরিমানা প্রত্যাহার, ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ, কাগজপত্র পরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ, ব্রিজের টোল কমানো, অপ্রয়োজনীয় স্পিড ব্রেকার অপসারণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া, জ্বালানি তেলের দাম কমানো, ভারতের পেট্রোপোল বন্দরে চালকদের নির্যাতন বন্ধ ও গত বছরের সীতাকুন্ডু থানায় ৪০০ জন অজ্ঞাত ট্রাক চালকদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা এ ধর্মঘট পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও ধর্মঘট চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
এমআরএম/আরআইএস/এমজেএফ