ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুরাতন জার্মান রেলইঞ্জিন ফিরে পাচ্ছে নব যৌবন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
পুরাতন জার্মান রেলইঞ্জিন ফিরে পাচ্ছে নব যৌবন পুরাতন জার্মান রেলইঞ্জিন মেরামত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার (ফাইল ছবি)

ঢাকা: পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় পড়ে ধুঁকছে দু’টি রেলইঞ্জিন। এছাড়াও আরও ১৯টি চলছে ধুঁকে ধুঁকে। ১ হাজার ৬৫০ হর্স পাওয়ারবিশিষ্ট এসব ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ কেনা হয় ১৯৯৫ সালে জার্মানি থেকে। দেখতে দেখতে ২০ বছর পেরিয়ে গেছে মিটারগেজ ডিজেল ইঞ্জিন লোকোমোটিভগুলোর। এখন ভালো সার্ভিসও দিতে পারছে না। তাই এসব পুরাতন ইঞ্জিন মেরামত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রেলের গতি বাড়াতেই এই উদ্যোগ। নতুন রূপে ঢেলে সাজালে এই ২১টি ইঞ্জিন আরও ২০ বছর সার্ভিস দিতে পারবে।

নতুনের মতোই ২১টি জার্মান রেলইঞ্জিন সার্ভিস দেবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২৭২টি ডিজেল ইঞ্জিন ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ রয়েছে। এরমধ্যে ১৯৬টির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। মেকানিক্যাল কোড অনুযায়ী একটি লোকোমোটিভের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ২০ বছর। তবে নতুনভাবে মেরামত করলে একটি লোকোমোটিভ আরও ২০ বছর পরিচালনা করা যায়। সেই প্রেক্ষাপটে ১৯৬টির মধ্যে ২১টিকে মেরামত করা হবে।
 
‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপদান’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৫৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। ফলে একটি লোকোমোটিভে মেরামত খরচ পড়বে ১২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় এগুলো চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। লোকোমোটিভ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন পরিচালনা এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্যই এমন উদ্যোগ।

কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার (কেলোকা) প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ২১টি লোকোমোটিভ জার্মানি থেকে কেনা হয় ১৯৯৫ সালে। দেখতে দেখতে ২০ বছর হয়ে গেছে। এগুলোকে নবরূপ দেওয়া হবে। ফলে অনায়াসে আরও ২০ বছর এগুলো পরিচালনা করা যাবে। রেলপথে আরও গতি বাড়বে বলে আশা করছি। ২১টির মধ্যে দু’টি কারখানায় পড়ে আছে। বাকি ১৯টি কোনোমতে সচল। আমরা এগুলো মেরামত করলে রেলপথে গতি বাড়বে। জার্মান ইঞ্জিনগুলোর মানও অনেক ভালো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এমআইএস/আরআর  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।