হাতে নতুন বই পাওয়ামাত্র অনেকেই তা উঁচিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করে। স্কুলের মাঠ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, জমির আইল দিয়েও দেখা যায় এমন দৃশ্য।
বই উৎসবে শিশু-কিশোররা এসেছিলো খালি হাতে। এসব শিশু-কিশোররা বাড়ি ফিরেছে নতুন বই নিয়ে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা ওরা। ভুলে যায়নি আনন্দ-উল্লাস করতে। নতুন বই হাতে পেয়ে যে যার মতো করে হৈ-চৈ আর আনন্দ উল্লাসে মেতেছিলো।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফয়েজ আহাম্মদ শহরের ঠনঠনিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন বই বিতরণ উৎসব কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর জেলার ১২টি উপজেলায় একযোগে বই বিতরণ উৎসব শুরু হয়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার জানান, বিগত বছরের মতো এবারো বছরের প্রথমদিন নতুন বই বিতরণ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। জেলার প্রাক-প্রাথমিক, মাধ্যমিক, দাখিল ও এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৬ লাখ বই বিতরণ করা হবে।
এদিকে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোতেও উৎসবের কোনো কমতি ছিলো না। নতুন বই পেয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেচে-গেয়ে আনন্দ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
মায়ের সঙ্গে নতুন বই নিতে স্কুলে এসেছিলো ফারহান রাফি। শিশুটি বাংলানিউজকে বলে, নতুন বই পেয়ে খুব ভালো লাগছে। বাসায় নিয়ে গিয়ে সব বইয়ের পাতা উল্টে উল্টে দেখবো। পাতায় দেওয়া ছবি দেখবো। খুব আনন্দ হবে।
নতুন বই হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কথা হয় সাদ আশরাফ নামের পঞ্চম শ্রেণিতে ওঠা এক ছাত্রের সঙ্গে। সে বাংলানিউজকে বলে, বাসায় পুরনো বছরের ক্যালেন্ডার খুলে রেখে এসেছি। বাসায় যাওয়ার পর সেই ক্যালেন্ডারের পাতা খুলে বইয়ে মলাট লাগাবো। এরপর মজা করে নতুন বই পড়বো।
নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সাবরিনা মৌ বাংলানিউজকে বলে, ভীষণ ভালো লাগছে। বছরের প্রথমদিন নতুন বই হাতে পেয়েছি। বাড়ি ফিরে আগে বইগুলো দেখবো। এরপর রাতে পড়াশোনা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
এমবিএইচ/আরআর