রোববার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নৌ পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বরাবর নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি দেওয়া শেষে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে একটি পণ্যবাহী নৌযানকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আসতে কমপক্ষে ২৬টি স্পটে চাঁদা দিতে হচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নদীপথে ইজারাদার নামধারী সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন ও ডাকাতি বন্ধ না হলে নৌযান শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না। অবিলম্বে নদীপথে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ডাকাতি শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ করা না হলে শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালনসহ সারাদেশে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে বাধ্য হবো। তখন আর নৌযান শ্রমিকদের ওপর দোষ দেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি সরদার আলমগীর মাস্টারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ও বিআইডব্লিউটিসির নেতা এস এম মনজুর আহাম্মেদ, বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু মাস্টার, জেলা যুব শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী লিটন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা নিজামউদ্দিন, কবির হোসেন, দশআনি মোহনপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, মো. নিজাম, মো. আলিম, খোরশেদ আলম, পান্না মিয়া, জেলা মটর মেকানিক্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো. জুয়েল, আকিজ গ্রুপের শ্রমিক নেতা আব্দুর রহিম, সানাউল প্রমুখ।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫নং খেয়াঘাট এলাকায় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
আরআইএস/