আধুনিক নাগরিক সেবা ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় রোববার (২৭ জানুয়ারি) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ আহ্বান জানান।
মেয়র খোকন স্থানীয় সরকার মন্ত্রীদের পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সব সেবা সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি পরিপত্র জারি হয়েছে।
মেয়র বলেন, সমন্বয়ের অভাবে আমরা যখন কোনো রাস্তা কার্পেটিং করি তারপর দশদিন না যেতেই আবার রাস্তা কাটা হয়। তাই অন্যান্য সেবা সংস্থা যদি এক মাস আগে আমাদের জানায় তাহলে আমাদের প্রস্তুতি থাকে। এজন্যই দরকার সমন্বিত কর্তৃপক্ষ বা নগর সরকার। যে নামেই ডাকা হোক না কেন একটা নগর সরকার দরকার। এজন্য তিনি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ভাগের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের পরিচালন ব্যয় ৬০ শতাংশ। উত্তরে মাত্র ৪০ শতাংশ। আমরা মাত্র ৪০ শতাংশ জনবল নিয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, ২৭ বছর ধরে রাজধানীর বাড়িগুলো অ্যাসেসমেন্ট হয় না। ২৭ বছর আগে যেখানে একতলা ছিল সেটা এখন পাঁচ-ছয়তলা ভবন হয়েছে, অথচ রাজস্ব আসছে মাত্র একতলার। এতে সব সময় আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গৃহ অ্যাসেসমেন্ট করে কর নির্ধারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু নির্বাচনের কথা চিন্তা করে সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেই অ্যাসেসমেন্ট বন্ধ করে দেয়। তাই দ্রুত সেই প্রজ্ঞাপন তুলে নিয়ে অ্যাসেসমেন্ট করার সুযোগ করে দিন। জনবল বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মেয়র।
মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, ডিএসসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসএম/আরআর