রোববার (২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতিকালে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যেই তার মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
রেল বিভাগে কোনোভাবে দুর্নীতি হলে তা ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
সুজন বলেন, আমি রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে দেখছি রেলওয়ের কোথায় কোথায় কী কী কাজ করা যায়। কী পরিকল্পনা করা যায়।
কাঙ্ক্ষিত সেবা ও উন্নত দেশের মডেলে যাতে বাংলাদেশ রেলকে সাজানো যায় সেজন্য দেশের মানুষকে সরকারের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চালু হবে ফেনী-বিলোনীয়া রেলপথ। আপনারা জানেন ১৯৬৫ সালের আগে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টিকারী যেসব রেললাইন ছিল আমরা সেসব আবার চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। কাজেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ লাইনটিও চালু হবে।
এসময় মন্ত্রী ফেনী রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিয়কান করার প্রতিশ্রুতিও দেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের আগে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নিজাম উদ্দিন হাজারী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) কাজী মো. রফিকুল আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিয়া জাহান, বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় জেনারেল ম্যানেজার ওমর ফারুক, ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলীম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীলসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসএইচডি/এএ