চলতি জানুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ পুরো দেশে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এই শৈত্য প্রবাহের মাধ্যমেই এবারের মতো চাদর মুড়ি দেবে শীত নিজেই।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফোরকাস্ট অফিসার আবদুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই শৈত্যপ্রবাহ আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় দেশের গড় তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে। তবে এরপর আর শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা নেই।
তবে শেষ এই শৈত্যপ্রবাহ তেমন জোরালো না বরং মৃদু আকারের হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। একই সাথে নদী ও নদী অববাহিকায় শেষরাত থেকে সকালের সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে বলেও জানান তারা।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিগত কয়েকদিনের থেকে বেশি শীত অনুভূত হয়। আগামী কয়েক দিনে এই শীত আরও বেশি অনুভূত হতে পারে। বুধবারের (৩০ জানুয়ারি) আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে তবে আকাশ থাকবে হালকা মেঘাচ্ছন্ন। রাতের তাপমাত্রা দিনের থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৫১ শতাংশ। আর প্রতি ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৬ কিলোমিটার থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে প্রবাহিত হবে বাতাস।
এদিন কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রেকর্ড হবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা; ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়া। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে টেকনাফে; ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এসএইচএস/এমজেএফ