বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিচালক (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষর এক আদেশে হিসাবরক্ষক ফুয়াদকে বিষয়টি অফিসিয়ালভাবে জানানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হিসাবরক্ষক মাহমুদ ফুয়াদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন ওই হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী।
পরে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মাহমুদ ফুয়াদ কোটেশনের মাধ্যমে ৪২ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা, ইউজার ফি’র ২ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪০ টাকা, জেনারেটরের জ্বালানি ক্রয়ের নামে ৪ লাখ, ৫৮ হাজার ১৯১ টাকা, হাসপাতাল পরিচ্ছন্নতার নামে ১৭ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং বাসা ভাড়ার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সরকারি খাত থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাত ও উপ খাতে স্থানীয় কোটশনের তুলনামূলক বিবরণীতে কোটেশন কমিটির সদস্য-সচিব ডা. মো. লুৎফর রহমানের স্বাক্ষর না থাকলেও জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে রক্ষিত অর্থ উত্তোলিত বিলে তার জাল স্বাক্ষর পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে হাসপাতালের বাসা ব্যবহার করলেও তার ভাড়া সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। পরিশোধ করেনি বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলও।
বরখাস্তকৃত হিসাবরক্ষক মাহমুদ ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, ওয়ান সাইড তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার পাশাপাশি পুনঃতদন্তের দাবি জানাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
কেএসএইচ/আরআইএস/