বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পতাকা বৈঠকের পর বিজিবির কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল ইমাম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানায়, গত সোমবার সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে ওমিদুলের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। পরে খবর পেয়ে ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এদিকে ওমিদুলের মরহেদ ফেরত চেয়ে ঘটনার দিনই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি-বিএসএফ। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো ময়নাতদন্তের পরই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হলেও মরদেহ ফেরত দিতে নানা টালবাহানা করতে থাকে বিএসএফ। বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকেও দফায় দফায় বৈঠকসহ কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার নিহত ওমিদুলের মরদেহ ফেরত দিতে সম্মত হয় বিএসএফ।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল ইমাম হাসান জানান, মরদেহ ফেরত দিতে সম্মত হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মতিয়ার রহমান, সঙ্গে ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস।
বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিজয়নগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুরেন্দ্র সিং ও কৃষ্ণনগর থানার ওসি তন কুমার। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বিএসএফ বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বিএসএফের কাছ থেকে ওমিদুলের মরদেহ গ্রহণের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
আরএ