ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশাল অঞ্চলে বেড়েছে রাজস্ব আহরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
বরিশাল অঞ্চলে বেড়েছে রাজস্ব আহরণ মতবিনিময় সভায় কর কমিশনার মকবুল হোসেন পাইক। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: সারাদেশে রাজস্ব বান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় কর দাতারা কর দেওয়ায় উৎসাহী হচ্ছেন। এতে কর দাতার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। বরিশাল কর অঞ্চলে মোট ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) ধারী কর দাতার সংখ্যা এক লাখ ৩১ হাজার ৪৮৩ জন।

২০১৮-১৯ কর বর্ষে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫৩ হাজার ২টি। ২০১৭-১৮ কর বর্ষে যার সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৫২৯টি।

এছাড়া চলতি কর বর্ষে রাজস্ব আহরণও বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বরিশাল নগরের বন্দর রোডের বরিশাল কর অঞ্চল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কর কমিশনার মকবুল হোসেন পাইক লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

কর কমিশনার মকবুল হোসেন পাইক বলেন, ২০১৭-১৮ কর বর্ষে বরিশাল কর অঞ্চল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ওই কর বর্ষে বরিশালের ছয়টি জেলায় কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩৫ কোটি টাকা। আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪৩৫ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার শত ভাগের বেশি।  

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বরিশাল কর মেলায় কর দাতাদের দাখিল করা রিটার্নের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৬১টি এবং আদায়ের পরিমাণ ৮ কোটি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৭ টাকা। যা বিগত সব মেলার রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

এছাড়া বর্তমান ২০১৮-১৯ কর বর্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বরিশাল কর অঞ্চলকে ৫১১ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এরই মধ্যে বর্তমান কর বর্ষে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত কর অঞ্চল ২২৩ দশমিক ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে। যা বিগত অর্থ বছরের এই সময়ে রাজস্ব আহরণের চেয়ে ৪২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা বেশি। সে অনুযায়ী রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে কর অঞ্চল বিগত কর বর্ষের তুলানায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি অর্থ বছরের অবশিষ্ট ৫ মাসে আরও বাড়বে বলেও আশা ব্যক্ত করেন কর কমিশনার মকবুল।

লক্ষ্যমাত্র অর্জনে আমরা নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছি উল্লেখ করে কর কমিশনার বলেন, কর মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি, কর দাবি সৃষ্টি করে তা আদায়ের ব্যবস্থা, পরীক্ষা কার্যক্রমের আওতায় থাকা, কর মামলাসমূহ এবং কর ফাঁকির অভিযোগে পুনঃ উন্মোচনকৃত মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি, সব বকেয়া কর হতে আদায় ত্বরান্বিত করা, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আয় কর মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া, জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুন কর দাতা সৃষ্টি করা, উৎস কর কর্তন ও সংগ্রহ এবং মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা। তৃণমূল পর্যায়ে উৎস কর কর্তন তদারকি, আয় কর মেলার পরিবেশে প্রত্যেক সার্কেলে ‘আয় কর সপ্তাহ’ পালন, প্রত্যেক অঞ্চলে ‘আয় কর’ ক্যাম্প স্থাপনসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, যুগ্ম কর কমিশনার লুৎফর রহমান, উপ কর কমিশনার আবুল বাশার, বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজী মিরাজ মাহমুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।