এ মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে সকালে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। পরে বিচারক মাকসুদা খানম জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক এবং করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাবের (সিডিসি) নৈশ্য প্রহরী আব্দুল বারেকের সাক্ষ্যগ্রহন করেন।
সাক্ষ্যদানকালে ফারুক হোসেন মানিক ফারুক আহমেদ নিহত হওয়ার সময় তার পরিধেয় বস্ত্র আদালতে শনাক্ত করেন। পরে উভয় সাক্ষীকে রানার আইনজীবীরা জেরা করেন।
আদালত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুরে রানাকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। রানার আসন থেকে নবনির্বাচিত এমপি তার বাবা আতাউর রহমান খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
আরএ