রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেতুটির একাংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। বর্তমানে একটি ছোট নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে লোকজন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উমেদপুর খালের ওপর ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের আয়রণ সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
গত রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার বাদোখালী গ্রামের মো. মাহাবুব হাওলাদার ও ওবায়দুল হাওলাদার সেতুটি পার হওয়ার সময় হঠাৎ ভেঙে পড়ে।
বুধবার (০৬ ফেব্রয়ারি) সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর পূর্ব দিকে রয়েছে দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া গ্রাম। সেতুর পশ্চিম পাশে রয়েছে শংকরপাশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পরিষদ। দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জহুরা একরাম মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করতো।
এছাড়া দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী কালিকাঠী, বাদোখালী, হরিণা গাজীপুর, বাদুরা গ্রামের ছয় থেকে সাত হাজার মানুষ সেতুটি দিয়ে জেলা সদর, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও হাট-বাজারে যাওয়া আসা করে।
স্থানীয় দোকানদার মো. ফারুক হোসেন বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। গত রোববার রাতে আকস্মিক সেতুটি ভেঙে পড়ে। এসময় ওবায়দুল হাওলাদার (৩৫) আহত হন।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ওয়াসিমুল কবির (০৯) বলে, নৌকায় করে স্কুলে যেতে ভয় পাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার বলেন, সেতু ভাঙার পর বিদ্যালয়ে শিশুরা আসা বন্ধ করে দিয়েছে। ওপার থেকে ৩৮ জন শিশু বিদ্যালয়ে আসছে। বুধবার ওপার থেকে তিনজন শিক্ষার্থী এসেছে।
দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া গ্রামের রাসেল খন্দকার বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। হাট-বাজারে কৃষিপণ্য ও মালামাল নেওয়ার জন্য কয়েক কিলোমিটার ঘুরে ভ্যানে করে বাজারে যেতে হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততার জন্য লোহায় মরিচা পড়ে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে সেতুগুলো। ভেঙে যাওয়া আয়রণ সেতুটির জায়গায় নতুন করে গার্ডার সেতু নির্মাণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
আরএ