বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কালামপুরের গোলাম মোস্তফার ভাড়াবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শায়লা গোপালগঞ্জ জেলার আলি হোসেনের মেয়ে।
মরদেহের সঙ্গে উদ্ধার করা চিরকুটে লিখা ছিল- ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি ভাল না, তাই সবাই আমাকে ভুল বোঝে। আমার মুখটা একবারের মতো প্রিয় মানুষটাকে দেখার সুযোগ করে দিও। মা-বাবা তোমাদের কাছে আমি অনেক ঋণী পারলে ক্ষমা করে দিও। তোমাদের গর্ভে এসে আমি ধন্য। এটা পরার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ'।
পুলিশ জানায়, দুপুরে ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা রুমের মধ্যে গৃহবধূ শায়লা আক্তারকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ধামরাই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মিজান বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে চিরকুট দেখে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে সে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। তার সঙ্গে উদ্ধারকৃত চিরকুটের লেখার সঙ্গে নিহত গৃহবধূর হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
আরএ