ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জামালপুরের সাংবাদিকদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
জামালপুরের সাংবাদিকদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জামালপুরের সাংবাদিকদের আল্টিমেটাম

জামালপুর: দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শেলু আকন্দের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন জামালপুরের কর্মরত সাংবাদিকরা।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর) রাতে জামালপুর শহরের প্রেসক্লাবে সাংবাদিক শেলু আকন্দের ওপর হামলাকারী পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সমাবেশে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

সাংবাদিক সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক শেলু আকন্দের হামলাকারী পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে প্রশাসনের অপসারণ দাবি করা হবে।

বক্তারা রুনু খানকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে ও রাকিব খানকে জেলা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া রুনু খান গংদের হাতে জামালপুরের বিভিন্ন জমি দখলের ঘটনা দুদককে তদন্তের দাবি জানানো হয়। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিকরা।
 
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল আই এর জামালপুর জেলা প্রতিনিধি হাফিজ রায়হান সাদার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নূরুল হক জঙ্গী, দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি সুশান্ত কুমার দেব কানু, বিটিভির প্রতিনিধি মোস্তফা বাবুল, বাংলার চিঠির সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের আনোয়ার হোসেন মিন্টু, কালের কণ্ঠের মোস্তফা মনজু, সময় টিভির জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ জার্নালের শওকত জামান, আলোচিত জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক কবি সাযযাদ আনসারী, কবি জাকারিয়া জাহাঙ্গীর, ইসলামপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাবুল, সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম রুকন, আবু সায়েম, নিপুণ জাকারিয়া, শিলা আহমেদ, মাসুদুর রহমান চৌধুরী ও শেলু আকন্দের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন আকন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এটিএন বাংলার প্রতিনিধি লুৎফর রাহমানের সমাবেশে  সঞ্চালনা করেন।


এর আগে ২৮ মে দুপুরে পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাকিব খান কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুকে মারধর করেছিলেন। মারধরের ঘটনায় হওয়া মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন সাংবাদিক শেলু আকন্দ। এর জের ধরে ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টায় দেওয়ানপাড়া এলাকায় শহররক্ষা বাঁধের বাইপাস সড়কে পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের নির্দেশে শেলু আকন্দকে দেশীয় অস্ত্র ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে দু’পা ভেঙে দেন রাকিব খান তার সহযোগীরা।

এ ঘটনায় শেলু আকন্দের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে অজ্ঞাতনামাসহ ৬জনকে আসামি করে জামালপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাকিব খানকে ওইদিন রাতে গ্রেফতার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন বাকিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
এসএমএকে/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।