ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ষাতেই আগের রূপে ফিরবে বুড়িগঙ্গা: মেয়র তাপস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
বর্ষাতেই আগের রূপে ফিরবে বুড়িগঙ্গা: মেয়র তাপস কামরাঙ্গীরচর লোহারপুলস্থ আদি বুড়িগঙ্গা এলাকা পরিদর্শন শেষে কথা বলছেন মেয়র তাপস

ঢাকা: আগামী বর্ষা মৌসুমেই বুড়িগঙ্গা আগের রূপে ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে নদীর যে গতিপথ তা অনেকটাই স্বাভাবিকতায় ফিরে এসেছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কামরাঙ্গীরচর লোহারপুলস্থ আদি বুড়িগঙ্গা এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

মেয়র ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সবচেয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্প হলো- আদি বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার, পুনঃখনন করে নদীকে আবারো পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে এনে একটি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।

তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, যে গতিতে কাজ চলছে তাতে নদীর যে গতিপথ তা অনেকটাই ফিরে এসেছে। আগামী বর্ষায় সেটা আপনারা দেখতে পাবেন।

বুড়িগঙ্গা নদী দখলমুক্ত করার বিষয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, নদীর বেড়িবাঁধে যে ব্লক ছিল সেগুলো আমরা ফিরে পেয়েছি। সেখানে রাস্তার আশপাশগুলো যেভাবে দখল ছিল সেগুলো আমরা দখলমুক্ত করতে পেরেছি। কামরাঙ্গীরচরের আশেপাশে আমাদের ব্যাপক দখলমুক্ত কাজ চলমান রয়েছে। আগামী বর্ষায় এই নদী অনেকটাই পূর্বের রূপে ফিরে আসবে। পানিতে পূর্ণ, টইটুম্বুর হবে নদী। আবার আগের মতো নৌকা চলবে।

আদি বুড়িগঙ্গা পুরোপুরি দখলমুক্ত করতে কত সময় লাগবে জানতে চাইলে মেয়র তাপস বলেন, এই প্রকল্পটি শেষ করতে দুই তিন বছর তো লাগবেই। আমরা খুব দ্রুত কাজ করছি। এরমধ্যে বড় প্রতিকূলতা হচ্ছে- নদীর পলিবর্জ্য অপসারণ করা ও সেই বর্জ্যগুলো একটি নির্ধারিত জায়গায় সরিয়ে নেয়া। এর জন্য আমরা মাতুয়াইল ভাগাড় ব্যবহার করছি। এছাড়া বেসরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে যারা পলিবর্জ্য নিতে চাইছে, আমরা তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি। যে কারণে কাজ একটু ধীর গতিতে আগাচ্ছে।  

বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করার চেষ্টা বহু বছরের, কিন্তু সেটি সফল হচ্ছে না কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, এখন বুড়িগঙ্গা দখলের বা ভরাটের আর কোনও সুযোগ থাকবে না। ভরাট হওয়া বা দখল হওয়া নদী আমরা খনন করছি, দখলমুক্ত করছি। সেইসঙ্গে সীমানা নির্ধারণ করে স্থায়ীভাবে পিলার দিয়ে সেখানে মানুষের জন্য নান্দনিক পরিবেশের ব্যবস্থা করছি। বুড়িগঙ্গা নদীকে পুরোপুরি দখলমুক্ত করতে হাইকোর্ট ডিভিশনের আগেও একটি রায় ছিলো। কেউ সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সেটা করছে।

এসআর/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।