ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার জার্মানির পতাকা প্রর্দশন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
মাগুরায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার জার্মানির পতাকা প্রর্দশন ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: সাড়ে ৭ কিলোমিটার জার্মানির পতাকা প্রর্দশন করে চমক সৃষ্টি করেছেন এক সমর্থক। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় পতাকা বলে দাবী তার।

শুক্রবার বেলা ১১টায় মাগুরা সদরের নিশ্চিন্তপুর স্কুল মাঠে এ পতাকা প্রদর্শন করেন জার্মানির ফুটবল দলের সমর্থক সত্তর বসর বয়সী আমজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের ঘোড়ামরা গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, ২০০৬ সালে প্রথম তিনি দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জার্মানির পতাকা তৈরি করেন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের সময় তার পতাকার দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় আড়াই কিলোমিটারে। ২০১৪ সালে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও সবশেষ ২০১৮ সালে পতাকার দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় পাঁচ কিলোমিটারে। দরিদ্র কৃষক আমজাদ বাড়ির তিন শতক জমি বিক্রি করেছেন পতাকা বানাতে। এবার কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমজাদ হোসেন তৈরি করছেন সাড়ে সাত কিলোমিটারের পতাকা।

২০১৪ সালে জার্মানির রাষ্ট্রদূত মাগুরায় আমজাদের বাড়িতে এসে পতাকা উদ্বোধন করেন। সে সময় তাকে জার্মানির দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জার্মানির ফুটবল দলের ফ্যান ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান আমজাদ হোসেন।

আমজাদ বলেন, তিনি একটি কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। জার্মানির ওষুধ খেয়ে তিনি রোগমুক্তি পান। তার পর থেকে জার্মানির ফুটবল দলের ভক্ত তিনি। প্রিয় দলের সবচেয়ে বড় পতাকা বানিয়ে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান আমজাদ।

আমজাদ আরও বলেন, এবার নতুন দুই কিলোমিটার পতাকা তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা। যার মধ্যে কাপড়ে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার ও সেলাই-যাতায়াতে খরচ ত্রিশ হাজার টাকা। কাতার বিশ্বকাপে জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হলে নিজ বাড়িতে কয়েক শত লোকের ভোজ দেওয়াসহ গোটা পতাকা নিয়ে মাগুরা শহরে মিছিলের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান আমজাদ।

মাগুরা ফুটবল একাডেমির পরিচালক সৈয়দ বারিক আনজাম বার্কিসহ স্থানীয়রা বলেন, আমজাদ জার্মানির ফুটবল পাগল মানুষ। দরিদ্র কৃষক হলেও বিশ্বকাপ ফুটবল এলে তিনি জার্মানির দীর্ঘ পতাকা বানিয়ে চমক সৃষ্টি করেন। প্রতি বছর তার পতাকার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়। এজন্য তিনি নিজের জমি পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।

চাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান আমজাদকে এলাকার গৌরব আখ্যা দিয়ে বলেন, আমজাদ ২০০৬ সাল থেকে জার্মানির পতাকা তৈরী করে চমক সৃষ্টি করে আসছেন। এ জন্য বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশসহ তার নিজ এলাকা পরিচিতি লাভ করছে। বিগত দিনে তিনি এ কাজের মাধ্যমে জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে আমাদের এলাকায় নিয়ে আসেন।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬২৪ ঘণ্টা, ১৮ নভেম্বর, ২০২২
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।