ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চড়া সুদ দিয়েও গ্রেফতার দেনাদার!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
চড়া সুদ দিয়েও গ্রেফতার দেনাদার!

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী শহরের বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম মফে (৫০)। শহরের সুদকারবারী হানিফের কাছ থেকে চড়া সুদে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি।

সুদের ওপর নেওয়া অর্থের ৭২ হাজার টাকাও ফেরত দিয়েছিলেন মফিজুল। কিন্তু তারপরও তাকে যেতে হয়েছে জেলে।

সুদ কারবারি হানিফের করা চেক ডিজ-অনার (এনআই) মামলায় মফিজুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মফিজুল ৩ লাখ টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন হানিফ।

পুলিশ জানিয়েছে, এনআই (এসসি ১৮/১৯) মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করলে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে গাংনী থানার সদস্যরা মফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার মফিজুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালে গাংনীর সুদকারবারী হানিফের কাছ থেকে তিনি ৮০ হাজার টাকা নেন। এর উপর চড়া সুদ ধার্য করেন হানিফ। মফিজুল মূল টাকা (৮০) হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে সুদের ৭২ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু এখনও হানিফ তার কাছে ৮০ হাজার টাকা দাবি করছেন। মুখে তিনি এ অর্থ দাবি করলেও মামলায় তিনি ৩ লাখ টাকা দাবির কথা লিখেছেন।

বিষয়টি নিয়ে হানিফের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মফিজুল আমার কাছ থেকে ৮০ হাজার নিয়ে মাত্র ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। সুদের টাকা তো দেওয়া দুরে থাক, তিনি আমার আসল টাকাই পরিশোধ করেননি। ২০১৭ সালে আমি তার বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকার চেক ডিজ-অনার মামলা করেছি। সে আমার বন্ধু, অনেক সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তিনি বিষয়টি আমার সঙ্গে মিটমাট করেননি। আমি বারবার আদালত থেকে সময় নিয়ে কালক্ষেপণ করেছি। কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি।

কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন অন্য কথা। তাদের ভাষ্য, হানিফ সুদকারবারি করে বিভিন্ন মানুষকে পথে বসিয়েছেন। অনেক মানুষ সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। হানিফ অবৈধ টাকায় অট্টালিকা গড়েছেন। বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদের হয়রানী করেন।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ বলেন, আদালত পরোয়ানা জারি করায় মফিজুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে বিচারকের নির্দেশে তাকে মেহেরপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।