যশোর: দূর থেকে দেখলে মনে হবে আর্জেন্টিনার পতাকা। কাছে গেলেই মিলবে রাঙানো এক বাড়ি।
প্রতি বিশ্বকাপের সময় পতাকা উড়ালেও এবার বাড়ি রাঙিয়েছেন তিনি। আর তার বাড়ি দেখতে ভিড় করছেন শত শত এলাকাবাসী।
চৌগাছা ও মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সাত গ্রাম। এ সাত গ্রাম একবার চৌগাছা উপজেলার মধ্যে আসে, আবার মহেশপুর উপজেলায় যায়। বর্তমানে গ্রামগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা চৌগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসের অধীন।
অন্যদিকে, ভূমিব্যবস্থাপনা মহেশপুর উপজেলায়। গ্রামগুলোর মানুষের চলাচল শুধুমাত্র ভূমি ব্যবস্থাপনা ছাড়া সবই চৌগাছা উপজেলায়। বর্তমানে গ্রামগুলোর ভূমি ব্যবস্থাপনাও চৌগাছার মধ্যে আসা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাসিন্দারা চান চৌগাছার মধ্যে স্থায়ীভাবে চলে আসুক।
এ সাত গ্রামের অন্যতম গ্রাম কমলাপুর। গ্রামে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গ্রামের বাসিন্দারা অধিকাংশই ক্রীড়াপ্রেমী। এ গ্রামেরই বাসিন্দা কৃষক সোনা মিয়া। ছোট বেলা থেকেই তিনি ক্রীড়ামোদী এবং বিশ্ব ফুটবলে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। ২০০২ বিশ্বকাপের সময় থেকে নিজের বাড়িতে উড়ান আর্জেন্টিনার পতাকা। এবার নিজের বাড়িটি রাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনার রঙে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সোনামিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি নিজের একতলা ফ্ল্যাট বাড়ি, বাড়ির প্রধান প্রবেশ গেট, বাড়ির প্রাচীর এমনকি রান্না ঘর সবই আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রং করেছেন। বাড়ির প্রবেশ ফটকের উপরে আর্জেন্টিনা ফুটবল টিমের ছবিসহ প্যানাসাইন, যাতে বিশ্বকাপ ট্রফি নিচ্ছেন যুগের অন্যতম সেরা তারকা লিওলেন মেসি। পাশেই একটি বাঁশে আর্জেন্টিনার পতাকা উড়ছে।
আর্জেন্টিনা ভক্ত কৃষক সোনামিয়া জানান, সামর্থ্য থাকলে কাতারে গিয়ে আর্জেন্টিনার অন্তত একটি ম্যাচ দেখতেন তিনি। সামর্থ্য না থাকায় নিজের বাড়ি আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙিয়েছেন। তিনি আশা করছেন দীর্ঘদিন বিশ্বকাপ না জিতলেও আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ জিতবে। সোনা মিয়া জানান, গ্রামসহ প্রতিবেশীরা তার এই আর্জেন্টিনার রঙে রাঙানো বাড়ি দেখতে আসছেন।
বাংলাদেশ সময় : ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
ইউজি/জেএইচ