ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ঘাপটি মেরে থাকা’ স্বাধীনতা বিরোধী থেকে সতর্ক থাকতে আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
‘ঘাপটি মেরে থাকা’ স্বাধীনতা বিরোধী থেকে সতর্ক থাকতে আহ্বান

ঢাকা: স্বাধীনতার ৫১ বছরের সাড়ে ২৯ বছর বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পার্টির মতো স্বাধীনতা বিরোধী এবং স্বৈরাচারেরা ক্ষমতায় ছিল। এখনও এমন কিছু লোক সমাজে ঘাপটি মেরে আছে।

তাদের থেকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় মির্জা ফখরুলের ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম’ মন্তব্যের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী বিতাড়িত হয়েছে, পরাজিত হয়েছে। তাদের দোসর রাজাকার, আলবদররের যারা সমর্থক তারা ঘাপটি মেরে আমাদের মাঝে আছে। এদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা সুযোগ পেলে এসব কথা বলে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর, শেখ হাসিনার ১৯ বছর- আওয়ামী লীগ এই সাড়ে ২২ বছর ক্ষমতায় আছে। অন্যদিকে তারা (বিএনপি-জামায়াত-জাপা) সাড়ে ২৯ বছরে কি করেছে তাদের সঙ্গে হিসাব মেলান। এতেই বোঝা যাবে তাদের আমলের অবস্থা আর আমাদের আমলের উন্নয়ন।

পাকিস্তান আমলে কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ জয়েন্ট সেক্রেটারি হতে পারেনি। রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগ আসতো এদেশের পাট ও চা রপ্তানি করে, ওরা (পশ্চিম পাকিস্তান) তুলা রপ্তানি করে আনতো ২০ ভাগ। ৪৮ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখানো হতো। ৬৮ সালের শেষ দিকে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।

স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তুতি ছিল না বলে যারা দাবি করেন, তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তার গোপন স্বাধীনতা প্রস্তুতির পরিকল্পনায় সিএসপি আহমেদ ফজলুর রহমান, রুহুল কুদ্দুস ও খান শামসুর রহমানসহ ১৯ জন সামরিক কর্মকর্তাও জড়িত ছিল। পাকিস্তানি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ করছে ও উস্কানি দিচ্ছেন শেখ মুজিব। দুই প্রদেশের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। সৈন্যদের বিদ্রোহের প্ররোচনা দিচ্ছেন, যে কারণে সেনাবাহিনীর ২৬ কর্মকর্তা অভিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ কনভেনশনাল ওয়ার নয়; জনযুদ্ধ ছিল এবং আমরা জয়ী হয়েছিলাম।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সভায় উপস্থিত থেকে বলেন, ২১ বছরে রেডিও-টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ ছিলেন। রাজাকারেরা মন্ত্রী হয়েছেন। বর্তমানে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা তারই দেখানো পথে দেশ পরিচালনা করছেন। সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বলা হচ্ছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নৌ-পরিবহন সচিব মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
এনবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।