ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

বন্দর ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৪, জুলাই ৭, ২০২৫
বন্দর ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান

ঢাকা: বন্দর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।  

সোমবার (৭ জুলাই) বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

জোটের অস্থায়ী কার্যালয় অনুষ্ঠিত সভায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী আবদুল আলী, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস।

সভায় নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারা দেওয়ার বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের উদ্যোগে গত ২৭, ২৮, ২৫ জুন রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেট হচ্ছে গণহত্যার বিচার, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার তার এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে বন্দর ইজারাসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড করছে।

দেশপ্রেমিক জনগণের এ রোডমার্চে আমরা জনগণের অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম সরকার আওয়ামী সরকারের চুক্তির ধারাবাহিকতায় বন্দর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। অথচ সরকার জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। যা নৌপরিবহন উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।

সভায় নেতারা সরকারকে বন্দর ইজারা দেওয়ার জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। অন্যথায় বাংলাদেশের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি করার ঘোষণা দেন।

সভায় নেতারা বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে ‘মব’ তৈরি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সরকারের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা যেভাবে সম্মতি উৎপাদন করছে তা খুবই উদ্বেগজনক। এসব বক্তব্য মবকে উৎসাহিত করছে।
নেতারা অবিলম্বে মবের সঙ্গে জড়িতদের দলীয় বিবেচনার বাইরে গিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ধর্ষণ, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সভায় প্রয়োজনী সংস্কার করে দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

সভায় সারা দেশে আগামী জুলাই আগস্ট মাসে ও ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসকে সামনে রেখে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।  

আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।