ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬ সফর ১৪৪৭

রাজনীতি

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে মামলার হুমকি জামায়াতের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৪, জুলাই ৩১, ২০২৫
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে মামলার হুমকি জামায়াতের

ঢাকা: জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়েরের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংলাপের ২৩তম দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, বিএনপি বলছে, সনদের আইনি ভিত্তি নেই। কিন্তু আমরা মনে করি, বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই সনদ মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সেজন্য আমরা কমিশন ও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করব।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সমর্থন করে তাহের বলেন, ৫৪ বছরের নির্বাচনী পদ্ধতিতে বাংলাদেশে দলীয়করণ, দখল, ভুয়া নির্বাচন, ভোটারবিহীন নির্বাচন ও রাতের ভোটের মতো অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। তাই আমরা এখন পিআর পদ্ধতির পক্ষে।  

তিনি জানান, বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশ পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে এবং এটি এখন একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া-সব মহাদেশেই এই পদ্ধতি কার্যকর রয়েছে।

তাহের বলেন, সংলাপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই পিআর পদ্ধতির পক্ষে। আমরা স্পষ্ট বলেছি, আমরা পিআর চাই। কমিশন বলেছে, বিরতির পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। আমরা আশা করি, তা ইতিবাচক হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এত কষ্ট করে এসেছি, আপনারা কভার করছেন। কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে এসবের কোনো মূল্য থাকবে না। বাস্তবায়ন না হলে শপথেরও কোনো মানে থাকবে না।  

আইনি ভিত্তির গুরুত্ব তুলে ধরে জামায়াত নেতা বলেন, আইনগত ভিত্তি ছাড়া এই চার্টার জিরো হয়ে যাবে। আমরা পরিষ্কার বলেছি, আইনি ভিত্তি ছাড়া আমরা স্বাক্ষর করব না। এই সরকারের মেয়াদেই এটি কার্যকর করতে হবে-এখনই, কাল থেকেই এটা সম্ভব।  

তিনি বলেন, সনদের আইনি ভিত্তি এখনই দেওয়া সম্ভব। বিকল্প আছে, উদাহরণ আছে। যারা বলছেন এটি সম্ভব নয়, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। এমন সনদে স্বাক্ষরের কোনো অর্থ হয় না, যদি তার আইনগত ভিত্তি না থাকে। এমন স্বাক্ষরের চেয়ে না করাই ভালো।  

উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে জোরালো অবস্থান জানিয়ে তাহের বলেন, এটা শুধু আমাদের কথা নয়, উচ্চকক্ষ হলো একটি ‘ব্যালেন্স অব অথরিটি’। মূল আইন প্রণয়ন হবে নিম্নকক্ষে, আর উচ্চকক্ষ হবে একটি গাইডিং ও কন্ট্রোলিং বডি।  

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আইনি ভিত্তি না দিলে আমরা এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে অসমাপ্ত মনে করব। কেবল সই করলেই বাস্তবায়ন হবে না-তা হলে এটি প্রহসনে পরিণত হবে।  

জাতির সঙ্গে আর তামাশা হতে দেবেন না বলেও উল্লেখ করেন তাহের।  

এসবিডব্লিউ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ