ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ফোন করে অসুস্থতার খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বরং খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে অমিত শাহর কার্যালয়ে দুই দফা ফোন করে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে।
অমিত শাহর সঙ্গে নয় তার কার্যালয়ের কমকর্তাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কার্যালযের কথা হয়েছে। ফোন নয়াদিল্লি থেকে আসে নি বরং ঢাকা থেকে গেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে তাদের কাছেও সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রধান রাজনৈতিক দলটিকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন এটি অনভিপ্রেত, বলেন ড, হাছান মাহমুদ।
এদিকে, অপর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে বিষয়টিতে ভারতীয় হাই কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হাই কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সূত্রটি জানায়, খবরটি মিথ্যা। বিজেপি সভাপতি খালেদা জিয়াকে ফোনও করেন নি, কথাও বলেন নি।
হাই কমিশনের বরাতে দায়িত্বশীল সূত্রটি আরও জানায়, হাই কমিশনে তথ্য রয়েছে, গত রাতে খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে অমিত শাহকে ফোন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি টেলিফোনের বিষয়টি জানতে চাইলে অমিত শাহ তাকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে দু দফা তার দফতরে ফোন গিয়েছিলো। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও কথা হয় নি।
হাই কমিশন নিশ্চিত করে, অমিত শাহ কোনও ফোন করেননি, এবং কথাও বলেননি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয় থেকে তার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল এক বিবৃতির মাধ্যমে এই কথপোকথনের খবরটি সংবাদমাধ্যমকে দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন ভারতীয় জনতা দল (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহ। বুধবার রাতে তিনি ফোনে খালেদা জিয়ার সঙ্গের কথা বলেন। এ সময় তার আশু সুস্থতা কামনা করেন। এমন সৌজন্য দেখানোর জন্য খালেদা জিয়া এই শীর্ষ বিজেপি নেতাকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫
** খালেদার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন বিজেপি সভাপতি