ঢাকা: কূটনৈতিক জোন ও আবাসিক এলাকায় কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট্রের (বিএনএফ) প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ এমপি ।
শনিবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিএনএফ আয়োজিত ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, গুলশান-বনানী ও বারিধারা একটি কূটনৈতিক জোন। সুতরাং এখানে কোনো দলের রাজনৈতিক কার্যালয় থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় হয়ে থাকে, তাই আমি আশঙ্কা করছি যেকোনো সময় এসব এলাকায় নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। আর সেজন্যই নিরাপত্তার স্বার্থে এসব এলাকা থেকে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য উস্কানিদাতারা বঙ্গবন্ধুর সময়েও ছিলো এখনও আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার দলের মধ্যে যারা উস্কানি দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে সতর্ক হন। তাছাড়া আপনি জনগণের নির্বাচিত নেতা, খালেদা জিয়া নির্বাচিত নন। তাই আপনার (প্রধানমন্ত্রী) দায়িত্ব অনেক বেশি।
বক্তব্যে জনগণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপে বসার অনুরোধ জানান তিনি।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংলাপের বিকল্প নেই দাবি করে তিনি বলেন, সংলাপ বা আলোচনা ছাড়া কখনো কোনো সমস্যার সমাধান হয় নি।
তাই দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক জোটকে সংলাপে বসতে হবে। কেননা সংঘাত কখনোই সমস্যার সমাধান বয়ে আনবে না, বরং সমস্যা ঘনীভূত করে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সরকারি দলের কোনো জোটে নেই আবার বিরোধী দলেও নেই, অন্যদিকে ২০ দলীয় জোটেও নেই। তাই দুই নেত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ আমার আছে। আর দেশের স্বার্থে আমি সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। দুই নেত্রীর মাঝে সংলাপের উদ্যোগ নিতে চাই।
এসময় তিনি দেশের স্বার্থে দুই নেত্রীকে আবারো সংলাপের বসার আহবান জানান।
এসময় তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি আমার সহযোগিতা চান তাহলে অবশ্যই আমি তাকে সহযোগিতা করবো।
বিএনএফের কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো ছিলেন সংগঠনের স্থায়ী কমিটির সদস্য মমতাজ জাহান চৌধুরী,মেহজাবিন ওয়াহেদ, নাসিরা খাতুন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫