ঢাকা: সমাবেশের নামে হেফাজতের মতো কোনো তাণ্ডব ঘটাতে বিএনপিকে আর সুযোগ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শনিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বীর উত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়নে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি শেষ টার্গেটের অপেক্ষায় আছে। তারা বিশ্ব ইজতেমা শেষ হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবে না। হেফাজতের মতো সমাবেশ করে তাদের আর তাণ্ডব করতে দেওয়া হবে না। সমাবেশের অনুমতি বিষয়ে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, কিসের অনুমতি? পরিকল্পিতভাবে লঙ্কাকাণ্ড ঘটানোর!
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নেই উঠে না। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কিসের সংলাপ? এরা যা করবে, তা দিয়েই জবাব দিতে হবে। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর।
এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রধানকে (মহাপরিচালক) ধন্যবাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিজিবি প্রধানকে আমি সেলুট জানাই। তার বক্তব্যের সমালোচনা করছে কিছু তথাকথিত আইনজীবি ও বুদ্ধিজীবী। এরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সুরে কথা বলেন। মূলত এসব বুদ্ধিজীবীরাই বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখছেন।
এ সময় তিনি দাবি করেন, ৭ থেকে ১০ দিন পরে আন্দোলনের নামও নিতে পারবে না বিএনপি। পালিয়েও পার পাবে না তারা। ওরা মনে করছে, বিদেশি বন্ধুরা এগিয়ে আসবে, কূটনৈতিকরাও তাদের সমর্থন দেবে না।
চলমান পরিস্থিতিকে বিএনপির সঙ্গে যুদ্ধ উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কামরুল বলেন, এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে হবে। তবে, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না কেউ। এ সকল সন্ত্রাসীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন। এটা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির সঙ্গে আমাদের একটা যুদ্ধ।
জোটের সহ-সভাপতি ড. ইনামুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আকতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জোটের আরেক সহ-সভাপতি মোবারক আলী শিকদার, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫