সোমবার (৬ মার্চ) পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাংলানিজের কাছে এ তথ্য জানান।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোটগণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনের ফল সম্পর্কে বিএনপির প্রার্থী হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু বাংলানিউজকে বলেন, ভোটগ্রহণ শুরু থেকে সব কেন্দ্র থেকে আমাদের পোলিং এজেন্টদের মারপিট করে বের করে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে অবাধে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তারা বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি দাবি করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল কাদের রোকন বাংলানিউজকে বলেন, যে কোনো নির্বাচনে পরাজয়ের পর ভোট কারচুপি কথাটি এখন বিএনপির মুখের বুলি। নির্বাচনের পরাজয় জেনে তারা এখন নির্বাচন কে প্রশ্নবৃদ্ধ করতে চায়। ভোটারদের অবাধ উপস্থিতি এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের মধ্যদিয়ে আমি বিজয়ী হয়েছি। কোনো প্রকারের ভোট কারচুপি হয়নি।
এদিকে, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদা বেগম ২৩ হাজার ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জান্নাতুন ফেরদৌস রুনু (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ১ হাজার ৮০০ ভোট। এ উপজেলায় ৭৪টি ভোটগ্রহণ চলে। ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার জন।
উল্লেখ, সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের মৃত্যু ও সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবীন শিরিন পিয়া প্রার্থী হওয়ায় পদ দুইটি শূন্য হয়ে যাওয়ায় এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
এমএ/টিআই