বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথ নেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই মেয়র। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের রাজশাহীর পরিচালক শ্যাম কিশোর রায় ও উপ-পরিচালক শাওগাতুল ইসলাম।
রবিউল ইসলাম রবির আইনজীবী আতাউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পুঠিয়া পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আসাদুল হককে (ধানের শীষ) ২৭১ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। রিটার্নিং অফিসারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে পরাজিত মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি রাজশাহীর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে নির্বাচনী মামলা (৪/২০১৬) দায়ের করেন। পরে পুনঃভোট গণনা শেষে ৫৯ ভোটে রবিকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।
কিন্তু এই আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদী আসাদুল হক গত ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন।
আপিলের শুনানি শেষ পর্যায়ে আসাদুল হক নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবার হাইকোর্টেও একটি সিভিল রিভিশন (১০৩/২০১৭) দাখিল করেন। এতে ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট।
কিন্তু এর বিরুদ্ধে রবিউল ইসলাম রবি সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল (৪৫৭/২০১৭) দাখিল করেন। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগের একক ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ স্থগিতের আদেশ দেন।
এছাড়া পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবিকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের আদেশেও বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
এদিকে, একই অনুষ্ঠানে শপথ নেন রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার কালাই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফেরদৌস হোসেন। আইনি প্রক্রিয়ায় পুনঃভোট গণনা করে আগের ঘোষিত প্রার্থীর ফল বাতিলের পর আদালতের মাধ্যমে তিনিও বিজয়ী হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
এসএস/জিপি/জেডএম