মঙ্গলবার (০৯ মে) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চের রায়ে এ তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ০৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
এ মামলায় ১৯৯২ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ। পাশাপাশি সরকারও দুটি আপিল করে।
দুদকের উদ্যোগের পর গত বছরের ৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ হয় গত ০৯ মার্চ। ওই দিন এ মামলার রায়ের দিন ২৩ এপ্রিল ধার্য করা হলেও সরকারের দু’টি আপিলের শুনানি না হওয়ায় রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরে তিনটি আপিলের শুনানি সম্পন্নের মঙ্গলবার সরকারের দু’টি আপিল খারিজ এবং এরশাদের আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, ১৯৯০ সালের ০৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করেন। আর অর্থ জব্দ করা হয় ২৫ ডিসেম্বর। যদিও তিনি খালাস পেয়েছেন, কিন্তু আদালত বলেছেন, এটা জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ। এটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে থাকবে।
অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এক কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি।
খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটি অদ্ভূত রায়। কমিশনকে জানিয়েছি। এখন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর
** দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টে খালাস এরশাদ