বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর আদালত চত্বর থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায়।
বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে দুই ঘণ্টাব্যাপী ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১শ’ ৫৫ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির চার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, রায় ঘোষণার পরপরই আদালত চত্তরে থাকা বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে আদালত চত্বর থেকে সিটি পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট, বন্দরবাজার, জেলরোড, মহাজনপট্রি ও লালদিঘীরপাড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সংঘর্ষ নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
পরে নগরীর বন্দর পয়েন্টে থাকা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় শুরু হয়। এদিকে আদালতের বিপরীতে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে গেলে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় ককটেল ও গুলির শব্দও পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সদস্যরা গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপি-আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুপুরে ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
** সিলেটে ত্রিমুখী সংঘর্ষ
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এনইউ/এসআরএস