রোববার (২৭ জানুয়ারি) বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় এ সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগে যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপ করেছিলেন সেসব দলের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি চা-চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) চিঠি দিয়ে ওইসব দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক ৮ দলের ১৬ নেতা পেয়েছেন এই আমন্ত্রণ।
রোববার রাতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় এ আমন্ত্রণে জোট নেতাদের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বাম জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর চায়ের আমন্ত্রণে বাম নেতারা যাবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে সিপিবির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বাম জোট মনে করছে গত ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এরপর প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বাম জোটের আমন্ত্রণপ্রাপ্তরা হলেন- সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পলিটব্যুরো সদস্য আকবর খান, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ফখরুদ্দীন কবীর আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোমিনুর রহমান বিশাল ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের আহ্বায়ক হামিদুল হক।
এর আগে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারাও এ চা-চক্রে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসকে/এএ