রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গত ১২ বছর ধরে ভয়ংকর পরিবেশে আমরা বাস করছি।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়াকে আজীবন আটকে রাখবেন, এটা কখনই সম্ভব না। এটা সাময়িক। সময়ের ব্যবধানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এখন আইনের শাসন নেই বলেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও অধঃপতন হয়েছে, যেটা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দেখলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়া আপোষহীন নেতা। ৯০ সালে তার অনেক সহকর্মী স্বৈরাচার এরশাদের হাতে হাত মেলান, কিন্তু তিনি গণতন্ত্রের স্বার্থে ছিলেন আপোষহীন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এমন একটা ধস নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা, সেই জায়গা থেকে শেখ হাসিনা ফিরে আসতে পারবেন না। বিএনপির সামনে সুসময়, কারণ এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে খুব বেশি মানুষের প্রয়োজন নেই। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজী মাত্র ১৭ জন সেনা নিয়ে বিজয় লাভ করেন, তাই সবাইকে সুশৃঙ্খল হতে হবে।
তিনি বলেন, দলের ভেতরে সমস্যা আছে, সেটা সময়মত সমাধান না করলে আরও বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। তবে ৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরে কোনো আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই তুলনায় আমরা অনেক ভালো, আমাদের দলের নেতাকর্মীদের অবস্থা এখনও ভালো আছে, তারা কেউ দল ছেড়ে যায়নি।
দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও ঘিরে দাঁড়াও বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
টিএম/আরআর