খালেদার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বিএসএমএমইউ'র মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. জিলন মিয়া।
এই মেডিকেল বোর্ডে আরো রয়েছেন রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একে মাহবুবুল হক।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বিএসএমএমইউ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে খালেদাকে বহনকারী গাড়ি বহর পুরান ঢাকার পুরনো কারাগার থেকে বের হয়ে ১২টা ৩৬ মিনিটে বিএসএমএমইউতে পৌঁছায়।
সকালেই খালেদা জিয়ার ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পৌঁছানোর পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল হুইলচেয়ারে করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালের ভেতরে নেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়াকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। উনি বলেছেন এখন রেস্ট নেবেন। ওনার রেস্ট শেষ হলে চিকিৎসা শুরু হবে।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, খালেদার জন্য ৬২১-৬২২ নম্বর কেবিন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তবে ঠিক কোন কেবিনে নেওয়া হয়েছে সেটা জানা যায়নি।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দুর্নীতি মামলায় পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ সেলে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। এর আগেও তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি ও তার দলের দাবি ছিল বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার। কিন্তু সরকার রাজি হয়নি। শেষ পর্যন্ত খালেদা সেই বিএসএমএমইউতেই চিকিৎসা নিতে ভর্তি হলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এমএএম/এএ