বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গণফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক।
পথিক বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া গণফোরাম থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে প্রবেশ করেন।
এসময় ড. কামাল হোসেন তার অফিসের কর্মচারীদের বলেন, ‘এই বিশ্বাসঘাতক বেঈমানকে কখনো আমার অফিসে ঢুকতে দিবা না’।
মোকাব্বির খানকে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে গণদল চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, ড. কামাল হোসেন জাতীয় অভিভাবক হিসেবে এই বেঈমানকে বের করে দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা তার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার যে আন্দোলন করছেন, সেই আন্দোলনে এখনও সক্রিয় আছেন। তার সেই আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে মোকাব্বির খান শপথ নিয়েছেন।
মোকাব্বির খানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেবে গণফোরাম
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোকাব্বির খানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেবে গণফোরাম। মোকাব্বির খান গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।
শপথ নেওয়ার বিষয়ে গণফোরাম সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত ছিলেন না। তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ইচ্ছায় শপথ নিয়েছেন। সংগঠন ও আদর্শবিরোধী কার্যকলাপে গণফোরাম মর্মাহত। এ বিষয়ে মোকাব্বির খান মিডিয়াতে গণফোরাম সভাপতি, সংগঠন বিষয়ে অসত্যও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যা অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
গণফোরাম জরুরিভাবে মোকাব্বির খানের ব্যাপারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেবে। মোকাব্বির খানের শপথ নেওয়ার ঘটনায় সংগঠনের অন্য কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এমএইচ/এএ