তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে সফল হবে। কোটা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যেসব তরুণরা সম্পৃক্ত ছিল, তাদের জন্য সামনের দিনগুলোতে উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর আরামবাগের ইডেন কমপ্লেক্সে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাহী কমিটির সভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেনের ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে দলটি। জন্মদিনে নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন ড. কামাল হোসেন। নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন তিনি।
গণফোরামের জনপ্রিয়তা বেড়েছে দাবি করে ড. কামাল বলেন, দেশ আরও এগিয়ে যাবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এবার ভালো ভালো লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের দলে (গণফোরামে) যোগ দিয়েছেন। তারা যোগদান করছেন এজন্য যে, আমাদের দল কর্মক্ষম, আমাদের দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং তারা এসে অবদান রাখতে চান।
‘আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ হবে সাংগঠনিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করা। এজন্য সদস্য বাড়াতে হবে। আমরা মনে করি, গণফোরাম দেশের জাতীয় দল, যেখানে সব মহলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। ’
গণফোরামকে শক্তিশালী করার উপর জোর দিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে শক্তিশালী সংগঠন ছাড়া অর্থপূর্ণ কাজ করা যাবে না। দেশে পরিবর্তন আনা যাবে না। আমরা গর্ব করি যে, আমরা টাকার বিনিময়ে রাজনীতি করি না। আমরা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করি না। আমরা জনগণের উপর ভিত্তি করি, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, গণফোরাম নেতা মফিজুল ইসলাম খান কামাল, আলতাফ হোসেন, সিরাজুল হক, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ড. রেজা কিবরিয়া, আ ম সা আ আমিন, মহসিন রশিদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ড. কামাল হোসেনের বাড়ি বরিশালের শায়েস্তগঞ্জে হলেও তিনি ১৯৩৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন তার স্ত্রী। তাদের দুই মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও দিনা হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
এমএইচ/এমএ