ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, জিয়াউর রহমানের পেছনে লেগে লাভ নেই। যদি তার বীর উত্তম খেতাব বাতিল করা হয়।
শনিবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এলডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
অলি আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা। চেতনা কোথা থেকে আসে। শুয়ে শুয়ে কী চেতনা আসে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো হবে যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতার নাম বলেন যিনি বীর উত্তম, বীর বিক্রম বা বীর প্রতীক ছিলেন। একজন সেক্টর কমান্ডারের নাম বলেন যিনি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। সবাইতো সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনী নাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। ঢাকায় ক্র্যাকডাউনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে আমরা অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা বিদ্রোহ করি। জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শোনার পর সবার মধ্যে চেতনা এলো যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, আমাদের তাতে অংশ নিতে হবে। ২৯ মার্চের আগে কেউ যুদ্ধে শামিল হয়নি।
তিনি বলেন, আমি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বসে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রেডি করি। জিয়াউর রহমানের যদি দুরভিসন্ধি থাকতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়ার কোনো প্রশ্ন আসতো না। ২৭ মার্চ সন্ধ্যার পর আমি ও জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রেডি করলাম এরপর তিনি রেডিওতে ঘোষণা দিলেন। এ ঘোষণা প্রতি এক ঘণ্টা পর পর প্রচারের জন্য শমসের মুবিনকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। যাতে বাংলার জনগণ শুনতে পারে।
এলডিপির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
এমএইচ/আরবি