নোয়াখালী: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি সাদাকে সাদা বলব, কালাকে কালা বলব। ওবায়দুল কাদের সাহেবের নীতি নৈতিকতা ছিল।
তিনি বলেন, আমার কাছে আছে শুধু আল্লাহ, ত্যাগী নেতাকর্মী ও গরীব জনগণ। আমাকে যারা পছন্দ করেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মী তারা আজ নানাভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছেন।
বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা কাদের বলেন, ষড়যন্ত্রের চোরা গলিতে পা দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এটা আজকে বলে যাচ্ছি হয়তো মরে যাব। আমি যতগুলো কথা বলেছি, সবগুলো আস্তে আস্তে মিলে যাচ্ছে। নোয়াখালীর সবচেয়ে ত্যাগী নেতা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। অথচ ওবায়দুল কাদের সাহেব আজকে তাকে পছন্দ করেন না, চিনেন না। আর তাকে রাজনীতিতেও এনেছেন বেলায়েত ভাই। এটা আমাদের জানা ঘটনা। ওবায়দুল সাহেবের এক নম্বর লোক ফেনীর তেল চোর স্বপন মিয়াজী। ২ নম্বর লোক হল নিজাম হাজারী। কিয়ার লাই হে মিয়ার হিয়ানদি আইতে কোন ঝাঁঝরা করে দেয়নি। আহারে আমরা বলে ভাই, আমরা বলে রক্ত। রক্ত আমরা নই রক্ত হলো, নিজাম হাজারী, স্বপন মিয়াজী, একরাম চৌধুরী, বাদল যারা অপকর্মের হোতা, রক্ত তারা।
তিনি বলেন, উনি কথা শোনেন দুর্নীতিবাজ নারী অ্যাডভোকেট ইসরাতুন্নেছার। সব তথ্য আছে। সিঙ্গাপুর থেকে আরম্ভ করে বাংলাদেশে যে দুর্নীতি ওই নারী করছেন। নেত্রী যদি কখনো ডাকে সব নেত্রীকে দেখাব। আমার ওপর আজকে এতো অত্যাচার নির্যাতন চলছে। আজকে মানবাধিকার কোথায়। তারাও কি বিক্রি হয়ে গেছে।
এরআগে, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১ টায় ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দেন আবদুল কাদের মির্জা। ওই লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, গত সংসদ নির্বাচনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে যেভাবে রাতের অন্ধকারে তার বাসা থেকে সিএমএইচে নিয়ে গেছে, সে রকম কিছু করার জন্য আজ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, ওনার স্ত্রীর প্ররোচনায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি দেশবাসীকে জানিয়ে দিচ্ছি, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমি সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যা করব। আমার ওপর যদি কিছু ঘটাতে আসেন, আমি বলে দিচ্ছি, আমি আত্মহত্যা করব। আমি কোনো অসত্যের কাছে মাথা নত করব না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
এনটি