ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নিহত আব্দুল জলিলকে নিজেদের কর্মী দাবি করলো এনায়েতপুর আ.লীগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
নিহত আব্দুল জলিলকে নিজেদের কর্মী দাবি করলো এনায়েতপুর আ.লীগ 

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে দলীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত আব্দুল জলিলকে (৩৮) নিজেদের কর্মী দাবি করে তাকে হত্যার দায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ওপর চাপিয়েছে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগ।  

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুর রশিদ।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, বুধবার (২৪ মার্চ) এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটগ্রহণের পর গণনা শুরু হয়। গণনার শেষ পর্যায়ে সাবেক মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস সমর্থিত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মাস্টার ও মনিরুজ্জামান মনির পরাজয় হচ্ছে জেনে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নিজে উপস্থিত থেকে তার ভাতিজা নান্নু বিশ্বাস এবং ছেলে মিঠু বিশ্বাসের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে তারা সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।  

এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, গত ১৬ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস তাকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।  

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে নিহত আব্দুল জলিলকে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য দাবি করা হলেও তার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি নেতৃবৃন্দ। এ সময় ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত আব্দুল জলিল আমার আত্মীয়। তিনি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে তার নাম নেই বলেও জানান তিনি।  

এদিকে, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভোট গণনার সময় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমিও ভেতরে ছিলাম। তবে আমাকে হত্যার উদ্দেশে সম্মেলনস্থলের বাইরে আব্দুস ছালাম ফকির ও বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া হয়। ভোট গণনা শেষে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আব্দুল জলিল নামে ওই ব্যক্তিকে কে বা কারা যেন কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার পরিবারের কোনো সদস্য জড়িত নই। নিহত আব্দুল জলিল আওয়ামী লীগ কর্মী কিনা সে বিষয়টিও আমাদের জানা নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এসআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।