ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির ট্রাম্পকার্ড ভারতবিরোধিতা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
বিএনপির ট্রাম্পকার্ড ভারতবিরোধিতা  ফাইল ছবি

ঢাকা:  বিএনপি ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

তিনি বলেন, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা আর ভারতবিরোধিতা বিএনপির কাছে রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড।

 

সোমবার (১ নভেম্বর) সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।  

সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন, বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এ দেশে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। সেটা নতুন করে বলার বিষয় নয়।  

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করে। ১৯৯১ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে।

বিএনপির আমলে দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬৩টি জেলায় একই সঙ্গে বোমা হামলা হয়েছিল বিএনপির শাসনামলে। শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল, তার প্রশ্রয়দাতা আর আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। অন্যদিকে বিএনপি চায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় যেতে বিএনপিই ধর্মকে আর সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদের আজান বন্ধ হয়ে যাবে, উলুধ্বনি বাজবে-এসব বক্তব্য কারা রেখেছিল? 

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন, নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন, তাদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, অন্যথায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতা, উসকানিদাতা নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হবেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অপকর্ম করলে কেউ রেহাই পাবে না, শাস্তি তাদের পেতেই হবে। ছলে-বলে-কৌশলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে শৃঙ্খলাবিরোধী অপকর্ম বলে গণ্য করা হবে।  

বাংলাদেশ সময় ১৪১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
এসকে/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।