ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘তেলের দাম বাড়ানোয় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
‘তেলের দাম বাড়ানোয় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে’

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, প্রয়োজন ছাড়াই তেলের দাম বাড়ানোয় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে এ অজুহাতে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

এখন তো তেলের দাম কমেছে কিন্তু কমানো হচ্ছে না কেন? 

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বর্ধিত সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, আগেও তেলের দাম বিশ্ববাজারে খুবই কম ছিল, তখনো কমানো হয়নি। বলা হয় জ্বালানি তেলের চোরাচালান রোধে তেলের দাম বাড়ানো হয়, আসলে কখনোই জ্বালানি তেল চোরাচালান করা সম্ভব নয়। ট্যাংকার বা পাইপ লাইন ছাড়া তেল পাচার করা অসম্ভব। কোনো দেশেই জ্বালানি তেল চোরাচালান করা সম্ভব নয়।  

তিনি বলেন, সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভর্তুকি দিয়ে তেলের দাম প্রতিলিটার সাত টাকা রেখেছিলেন। এখন সেই ডিজেলের দাম ৮০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে দেশের সব মানুষ কষ্ট পায়। প্রতিটি পণ্য ও সেবার দামও বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহন কোনো ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘট শুরু করে। লাখ লাখ মানুষ পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে সড়কের মধ্যে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্তা পরিবহন মালিকদের সঙ্গে সভা করে পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ন্যাচারাল গ্যাসে চালিত বাসগুলোও ভাড়া বাড়িয়ে দেয়, অথচ গ্যাসের দাম বাড়েনি। আবার সরকার যতটুকু ভাড়া বাড়িয়েছে, শ্রমিকরা তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করে। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজি না হলে তাদের পথে নামিয়ে দেওয়া হয়।  

তিনি বলেন, কোনো ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ নিজের অজান্তেই বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল দিচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কারো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হচ্ছে না। কৃষক যে পণ্য পাঁচ টাকা কেজিতে বিক্রি করে তা হাত ঘুরে রাজধানীতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। দেশের কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না।  

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর কোনো প্রেম নেই আমাদের। আমাদের সঙ্গে প্রেম করে আওয়ামী লীগ তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে। এখন আমাদের ওপর নির্যাতন করছে।  

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসন বাবলা বলেন, প্রমাণ হয়েছে জাতীয় পার্টি ছাড়া আর কোনো দলই দেশে সুশাসন দিতে পারে না। দেশের মানুষের আশা পূরণ করতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি।  

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, মীর আবদুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।