খুলনা: তীব্র আন্দোলনের মুখে অবশেষে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই খবর খুলনায় ছড়িয়ে পড়লে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার (১০ মে) রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামি ছাত্রশিবির, খেলাফত মজলিশ, দ্য রেড জুলাইসহ বিভিন্ন সংগঠন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ মিছিলে অংশ নেন।
এ সময় এনসিপি খুলনার প্রধান সংগঠক আহম্মদ হামীম রাহাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর আহ্বায়ক আল শাহরিয়ার ইসলামি ছাত্র শিবিরের খুলনা মহানগর সেক্রেটারি রাকিব হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা রাতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামি লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলেও জানানো হয়। পাশাপাশি আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত তিন দিন ধরে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ছাত্র-জনতা। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাল।
এমআরএম/এএটি