ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

ববি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে মধ্যরাতে অনশনে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:৫১, মে ১৩, ২০২৫
ববি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে মধ্যরাতে অনশনে শিক্ষার্থীরা

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
 
সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।

এর আগে একই স্থানে রাত পৌনে ৯টায় সংবাদ সম্মেলন করে অনশনে যাওয়া ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।  

এছাড়া দুপুরে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চল অচল করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
 
এদিকে ফেসবুকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রুপ লিংকার্স ইন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইভে এসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন।
 
উপাচার্যের ফেসবুক লাইভে আসার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে রাত পৌনে ৯টায় করা শিক্ষার্থীদের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। গত ২৮ দিন ধরে চলমান আন্দোলনের কোনো পর্যায়েই তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। অথচ শেষ মুহূর্তে ফেসবুক লাইভে এসেছেন। আমাদের স্পষ্ট কথা, তার মতো ফ্যাসিস্ট উপাচার্য আমরা চাই না।
 
লাইভে চুক্তিভিত্তিক দুজনকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, আমার বিশ্বাসী কোনো লোক ছিল না। তাই দুজনকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একজন রিজাইন করেছেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন এখনো না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, গত সপ্তাহে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সিন্ডিকেট সভাসহ বর্তমান পরিস্থিতির কারণে হয়ে ওঠেনি।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে দুইটি করে গ্রুপ রয়েছে। কোনো কাজে কাউকে পাওয়া গেলে অন্যরা বিরোধিতা করেন।
 
লিংকার্স গ্রুপে শিক্ষকদের মধ্যে ৫০ ভাগ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯৬ ভাগ তাকে চায় না জানালে উপাচার্য বলেন, এটা কতটুকু সঠিক? এ ভোট কি গ্রহণযোগ্য? শিক্ষার্থীদের নামে অন্য কেউ ভোট দিয়েছে। কারো তো নাম প্রকাশ হয়নি।
 
ভিসি বলেন, অনেক শিক্ষার্থী তাকে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে পরীক্ষা ও ক্লাস চালু করার দাবি জানিয়েছে।
 
উপ-উপাচার্যকে কোনো দায়িত্ব না দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইনে তার কোনো ভূমিকা নেই। সিন্ডিকেট সভা করে তার কি দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার যে দায়িত্বগুলো রয়েছে, সময় হলে দেওয়া হবে।
 
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তার কি বার্তা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, আন্দোলন থেকে ক্লাসে ফিরে যান। আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা যাবে। সবার জন্য শুভ কামনা জানিয়ে বলেন সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
 
এদিকে অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, লাইভে এসে উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার জন্য অপমানজনক।
 
এমএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।