ঢাকা, বুধবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

আমরা চাই একটা শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক: ফখরুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১৪, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
আমরা চাই একটা শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক: ফখরুল বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বিভেদের রাজনীতি চাই না; হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ও মুসলমান সবাই মিলে একটা শান্তির রাষ্ট্র গড়তে চাই।  

বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের এক মিশ্র সভাতে ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

 

সভায় মাদরাসার শিক্ষক, মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, রাজনীতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

গণতন্ত্র নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শত ফুল ফুটতে দাও। শত ফুল ফুটলে বাগানের সেই ফুলের সৌরভ সমাজে ছড়িয়ে যাবে। আমরা আর বিভেদের রাজনীতি চাই না। হিংসার রাজনীতি প্রশ্রয় দিতে চাই না।

তিনি বলেন, বহুদিন ধরেই মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা যে লড়াই ও সংগ্রাম করেছি, ছেলেরা যে কারণে প্রাণ দিয়েছে—এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে; আপনারা যা বলবেন সেটাই হবে। আপনারা ভোট দেবেন আপনার পছন্দের প্রার্থীকে; সে নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে গিয়ে জনগণের কথা বলবে। ”

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, এবারে ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসছে।  দুই স্তরের পার্লামেন্ট হবে; এক অংশ নিম্নকক্ষ হবে যেখানে নির্বাচিতরা যাবে এবং আরেকটি উচ্চকক্ষ হবে যেখানে দলগুলোর প্রতিনিধির সংখ্যা অনুযায়ী অংশগ্রহণ থাকবে।  

পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরের কিছু মানুষ যেমন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা, আলেম সমাজের কিছু ব্যক্তি, শিক্ষাবিদ ও পণ্ডিতরা মনোনয়ন পেয়ে সেখানে থাকবেন। এভাবে এমন একটি পার্লামেন্ট গঠিত হবে যা সত্যিকার অর্থে জনগণের কথা বলবে এবং কোনো এক দলের কর্তৃত্ব থাকবে না। এটি নিয়ম মাফিক চলবে।

মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশকে নতুনভাবে সাজানোর সুযোগ দিয়েছে। অনেক মত থাকবে, অনেক মত একমত হবে না। তাই মতগুলোকে পার্লামেন্টে আনতে হবে; সংখ্যাগরিষ্ঠতায় মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে এবং দেশ সেভাবে চলবে।

তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখে এবং সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উপাসনালয় সুরক্ষিত থাকবে। হিন্দুরা মন্দিরে, মুসলমানরা মসজিদে তাদের ধর্ম পালন করবেন এবং কথা বলার সুযোগ সুরক্ষিত থাকবে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ও মুসলিম সবাই মিলে থাকাটাই আমাদের বাংলাদেশ।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু-সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল্য ভুলে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।  

শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাসহ দেশের জন্য যুদ্ধে নিয়োজিতদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার অস্তিত্ব তারা ভুলতে পারবেন না। একইভাবে ২৪-এর ৫ আগস্টও তারা ভুলবে না, কারণ ওই দিন তাদের ছেলেরা রক্ত দিয়েছে এবং দেশকে দানবীয় শাসন থেকে মুক্ত করেছে। এখন একসঙ্গে সব কিছুকে নিয়ে চলাই হবে নতুন বাংলাদেশের পথ।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।